এখন প্রায় প্রতিদিনই রাতের বেলায় বাইরে একা একা হেঁটে বেড়ানোর অভ্যাসটা হয়ে গেছে। আজও তেমন রাস্তার ডান পাশটা নিয়ে হাঁটছি।হাতে একটা

গোল্ড-লিফ, আস্ত সিগারেট টা পুড়ে পুড়ে জলসে যাচ্ছে, মুখে নিতে মন সায় দিচ্ছে না।একটার পর একটা গাড়ি ঝড়ো গতিতে আমার পাশ কেটে চলে যাচ্ছে।কি আজব!চার চাকার একটা গাড়ির উপর মানুষ কতোটা নির্ভরশীল।অথচ এই গাড়িগুলোই মানুষের আবিষ্কার।

“রাত:১:৩০ মিনিট”
একটা ব্রিজের এক প্রান্তে দাড়িয়ে অন্ধকার দেখছি। কানে ভেসে আসছে শহরের আরুচিপুর্ন কোলাহল।সবাই নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে।আমার ওতো একটা তাড়া নেই,কোথায় যেনো শুনেছিলাম আশাহীন আর স্বপ্নহীন মানুষদের তাড়া থাকে না।

লিটন রায় (লিটু)

লাল সাদা রং এর বাতি জ্বালিয়ে একটার পর একটা গাড়ি পাশ কেটে হনহন করে চলে যাচ্ছে চোখের পলক পড়ার আগেই।পাশেই ছোট ছোট মাঝবয়সী ছেলে মেয়েরা কাগজ,প্লাস্টিকের বোতল কুড়ানোর কাজেই ব্যস্ত।

পাসের দিকে নজর দেওয়ার সময় নাই তাদের।বড় বড় দালানের চিলেকোঠা থেকে মাঝে মাঝে চিৎকার শোনা যাচ্ছে,হয়তো কারো বুক ফাটা আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে।রাতের বেলা মন খুলে কান্না করা যায়,কোথায় যেনো শুনেছিলাম,তারা হয়তো সেই কথা ভেবেই মনের কষ্টকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে।

আরও পড়ুন…

শিশু গায়ে কাঁথা-কম্বল রাখে না, শীতের রাতে করণীয়

এসব কিছু দেখছি আর আকাশের দিকে তাকাচ্ছি,দূরের আকাশে অন্ধকার রাতে তারা ছাড়া আর কিছু দেখা যায়না।তারপরও মাঝে মাঝে দূরের আকাশে দু একটা বিমান যেতে দেখছি,হয়তো এই বিমানে করে কেউ কেউ তাদের স্বপ্নকে সাজাতে দূরদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, আবার কেউবা স্বপ্নকে সাজিয়ে বাড়ি ফিরে আসছে।

কি আজব তাইনা!!! এই বিমানে মানুষ পাখির মত উড়ে স্বপ্ন সাজানো আর ধরার জন্য ছুটে যায় আপন মানুষগুলো ফেলে।

আরও পড়ুন…

রাতের বারান্দা…

আমি হাটছি আর হাটছি।সবকিছুর ভিতরে কেমন যেনো শূন্যতা শূন্যতা বিরাজ করছে মনে হয়।পকেটের সিগারেটের প্যাকেট টা বের করে দেখি সেটাও খালি পড়ে আছে।ভোর হতে হয়তো বেশি দেরি নেই আর, দু একটা পাখির ডাকাডাকি শুনতে পারছি কিন্তু দেখার চেষ্টার করেও তাদের দেখা যাচ্ছেনা ঝাপসা অন্ধকারে।

মাইকে আযান দিচ্ছে দুরে কোথাও শোনা যাচ্ছে।তারমানে একটু পরেই ভোর হয়ে যাবে।তাতে কি আমার অতটা তাড়া নেই।কোথায় যেনো পড়েছিলাম আশাহীন আর স্বপ্নহীন মানুষের অতটা তাড়া থাকেনা।